ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম - সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম ও ভাবসম্প্রসারণ Class 6, 7, 8, 9, 10 এবং ভাব-সম্প্রসারণ করার নিয়মাবলি নিয়ে আলোচনা করবো।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম! আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের টপিক।

ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে অনেকে অনেক প্রশ্ন করেছেন, যে একটি ভাবসম্প্রসারণ কত পৃষ্ঠা লিখতে হয় এবং পয়েন্ট বা কটেশন কিভাবে দিতে হবে। তাই আমি আজকে আপনাদের এই সকল বিষয় পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিবো।

ভাবসম্প্রসারণ লেখার সঠিক নিয়ম জানার আগে আপনাকে আগে জানতে হবে ভাবসম্প্রসারণটা আসলে কি? চলুন জেনে আশি।

ভাবসম্প্রসারণ কী

ভাবসম্প্রসারণের ভাব বলতে আমরা বুঝি "মনে ভাব" আর সম্প্রসারণের অর্থ হল "বিস্তারিত"। তাহলে দ্বারায়, মনের ভাবকে বিস্তারিত করে লেখার নামই ভাবসম্প্রসারণ। অন্যভাবে বলতে গেলে, কোন মূল বক্তব্য বা মর্মকথাকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করাকেই ভাবসম্প্রসারণ বলে।

ভাবসম্প্রসারণে কোন একজন কবি বা লেখকের দুই থেকে চার লাইন থাকে আর সেটাকে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। বন্ধুরা এই ভাবসম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আমাদেরকে তিনটি পয়েন্ট মনে রাখতে হবে।

  1. মূলভাব
  2. সম্প্রসারিতভাব
  3. মন্তব্য / উপসংহার

ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম

মূলভাব ঃ সাধারণত এই মূলভাব দুই থেকে তিন লাইনের মধ্যে শেষ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় দুই থেকে তিন লাইন না হয়ে চার লাইন হয়ে গেল ভয় পাবেন না এতে সমস্যা নেই। তবে ২-৩ লাইনের মধ্যেই রাখা ভালো।

সম্প্রসারিতভাব ঃ এই সম্প্রসারিতভাব লেখার সময় আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে দিরুক্তি না হওয়া। দিরুক্তি কথাটার মানে হয়তো অনেকে বুঝতে পারেনি। এর মানে হল একই শব্দ বার বার লিখা। এই শব্দ বার বার লিখলে এক্ষেত্রে আপনি নম্বার কম পেতে পারেন।

আপনাকে কথাগুলো গুছিয়ে লিখতে হবে কিন্তু একই কথা বার বার লিখবেন না এবং লেখার মধ্যে আমি, আমরা এই শব্দগুলো পরিহার করবেন না। যেমন:- আমার মতে এই, আমাদের মতে এই ধরনের শব্দও লেখা যাবে না। এরপর কবি বুঝিয়েছেন, বা কবি বলেছেন, কবির মন্তব্য এগুলো কথা লিখা যাবে না।

মোট কথা আপনাকে সহজ ভাষা ব্যবহার করে ভাবসম্প্রসারণ লিখতে হবে। সম্প্রসারিতভাব লিখার সময় আপনাদের এই কয়েকটি বিষয় খেলাল রাখতে হবে।

মন্তব্য / উপসংহার ঃ এখানে আপনাকে দুই অথবা এক লাইনের মধ্যে শেষ করা ভালো। তবে কম বেশি হতে এটা কোন সমস্যা না।

ভাবসম্প্রসারণ করার নিয়ম

এখন আপনাদের জন্য নিচে কিছু টিপস দেবো যা থেকে আপনি খুব সহজে ভাবসম্প্রসারণ লিখতে পারবেন। তখন ভাবসম্প্রসারণ লেখা আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাহলে চলুন আজকের বিষয় ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • যে উক্তি বা অংশের ভাব-সম্প্রসারণ করতে হবে তা ভালোভাবে পড়ে মূল বিষয়টি উদঘাটন করতে হবে।
  • যক্তিতর্কের মাধ্যমে ভাবটি বিশ্নেষণ করতে হবে এবং সেই সাথে সহজ, সরল ভাষায় ‍গুছিয়ে লিখতে হবে। দীর্ঘ, কঠিন ও সমাসবদ্ধ শব্দ ও জটিল বাক্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
  • ভাবের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্ত বা উপমা-রূপক-প্রতীক দেওয়া যাবে।
  • ভাবসম্প্রসারণের কলেবর কত বড় হবে তা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত নম্বরের ওপর নির্ভর করবে। তবে শব্দ সংখ্যা ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে এবং লাইন সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
  • ভাবটি সম্প্রসারিত হওয়া মাত্রই উত্তর শেষ করতে হবে।

ভাবসম্প্রসারণ নিয়ে কিছু কথা

একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখে ফুল মার্ক পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুই থেকে আড়াই পৃষ্ঠা লিখতে হবে। ভাবসম্প্রসারণ লেখায় তিনটি বিষয় খেয়াল করবেন সেটি হল তিনটি প্যারা। একটি মূলভাব, একটি সম্প্রসারিত ভাব এবং অপরটি মন্তব্য / উপসংহার।

একটি ভাবসম্প্রসারণের উত্তর পয়েন্ট আকারে না করলেও হয়। শুধু মাত্র প্যারা প্যারা করে দিলেও হবে। কিন্তু যারা Class 6, 7, 8, 9, 10 তাহলে আপনি কোটেশনের বা পয়েন্টের নাম দিতে পারেন। তবে যারা HSC তারা পয়েন্ট এর নাম না দিয়ে শুধুমাত্র প্যারা আকারে দেন তাহলে ভালো হবে।



ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম বন্ধুরা এই টপিকটি পুরোটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, যদি এই টপিকের কোনকিছু বুঝতে না পাড়েন তাহলে নিচে কমেন্ট করুন। আশা করি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর আপনাদের যদি নতুন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের জানান আমরা জানানোর চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ Amarload.com এর সাথে থাকার জন্য।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url