ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস শব্দটি সাথে সকলেই আমরা পরিচিত। দিন দিন আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর ডায়াবেটিস রোগী মানেই শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন। তাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের টপিক।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাকে স্বাগতম!

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল রোগী কি খাবেন আর কী খাবেন না। সেই নিয়ে দিন রাত ভেবে যান। আর এই প্রশ্নের এককথায় উত্তর হল রোগীর সেই সমস্ত খাদ্য না খাওয়াই উচিত যেগুলো রক্তের দ্রুত সুগার বাড়িয়ে দেই। আর এই রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়লে বা কমলে শরীরে অন্যান্য অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে। 

অনিয়ত্রিত ব্লাড সুগার থেকে চোখ, স্নায়ু, হার্টের সমস্যা দেখা দেওয়া আশংকা থাকে। আর এই কারণেই খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক থাকা দরকার।

ডায়াবেটিস হলে কি হয়

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যেখানে শরীর সঠিকভাবে চিনি বা গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না।
ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়াতে পারে। কারো ডায়াবেটিস হলে শরীরে হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত গ্লুকোজ সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়।

এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রচুর প্রস্রাব করলে তৃষ্ণা পায়।এটি ঘটে যখন একজন ডায়াবেটিস রোগীর খুব বেশি ইনসুলিন গ্রহণ করে বা ইনসুলিন নেওয়ার পরে খাবার এড়িয়ে যায়। ঘন ঘন হাইপোগ্লাইসেমিয়ার একটি কারণ হল ইনসুলিনের ভুল ডোজ গ্রহণ করা। অতএব, এই ধরনের ক্ষেত্রে, সঠিক ডোজ এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ডায়াবেটিস থাকলে সবচেয়ে ভালো খাবার কী কী?

ডায়াবেটিস থাকা মানেই শরীরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু খাবার চার্ট থাকা। আপনি যে পরিমান খাবর খান তা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। সময়মত যুক্তিসংগতভাবে খান এবং নিদিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য পরিকল্পনা কঠোরভাবে অনুসরণ করুন। মিষ্টি এড়িয়ে চলুন এবং দিনে একবার বা দুবার জল খাবার খান। প্রতিদিন সকালে হাটাহাটি করুন।

আপনার বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং আপনার ওজন- ডায়াবেটিস পরিচালনার জন্য আপনি যে ধরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তার উপর আপনার প্রতিদিন কতটা খাবার এবং পানীয় প্রয়োজন তা নির্ভর করে। 

একটি সুষম খাদ্য মানে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বেশি খাওয়া এবং অন্যদের কম খাওয়া। একইভাবে, শুধুমাত্র একটি খাবার মানবদেহের সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে না।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন ডায়াবেটিস হলে কিছু খাবার পরিহার করতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত চর্বি, চিনিসমৃদ্ধ খাবার ও লবন এই খাবারগুলো যত কম খাওয়া যাবে আপনার জন্য তত ভালো। চিনি খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বাদ দিলে ক্ষতি হবে না। 

তাছাড়াও কয়েকটি খাবার রয়েছে সেগুলো হল আইসক্রিম, চকলেট, চিপ্স, বিস্কুট, মাখন ও অতিরিক্ত চিনি দেওয়া কোমল পানীয় এই সব খবার যত দূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এই খবারগুলিতে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট থাকে যা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবাার তালিকা

এখানে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাবেরর তালিকা দেওয়া হল। এতে করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা অতি সহজের আমাদের এই সাইটের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এবার কোন সময় কোন খাবার খাবেন এই বিষয় জানিয়ে দিবো।

সকালঃ সব সময় চেষ্ট করবেন সকালের নাস্তা ৮-৯ টার মধ্যে শেষ করার জন্য। সকালের নাস্তায় আপনি রাখতে পারেন আটা রুটি, ভাত, মুড়ি, চিড়া, ডিম, সবিজ, ডাল, ভাজি। এখানে আপনার পছন্দ মতো খাবার নিতে পাড়েন। তবে একটা ডিম প্রতিদিন খাবেন।

সকাল ১১টাঃ এই সময় আপনি মুড়ি, স্যুপ, কর্নফ্লেক্স, ওটস। আর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটা ফল।

দুপুর ১টা-২টাঃ ভাত, মাছ অথবা মাংস, ডাল, + সবজি, সালাদ, লেবু। এখানে বলা হয়েছে মাছ অথবা মাংস ১পিস তবে সালাদ আপনার ইচ্ছা মত।

বিকাল ৫টাঃ বিকালের নাস্তায় আপনি রাখতে পারেন সুপ, ছোলা, চিনি ছাড়া বিস্কুট, মিষ্টি ছাড়া পিঠা, বাদাম, মুড়ি, রং চা ইত্যাদি।

রাত ৮টা-৯টাঃ রাতের খাবারে রাখতে পারেন আটার রুটি, ভাত, মাছ অথবা মাংস, ডাল + সবজি, সালাদ, লেবু।

শোবার সময় রাত ১১টাঃ আপনি চাইলে শোবার আগে আপেল, মুড়ি, দুধ (সর বাদে) এগুলো রাখতে পারেন।
 

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা এই টপিকটি পুরোটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, যদি এই টপিকের কোনকিছু বুঝতে না পাড়েন তাহলে নিচে কমেন্ট করুন। আশা করি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর আপনাদের যদি নতুন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানান আমরা আপনাদের সেই বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করবো।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url