পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কি । পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কাকে বলে

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কি । পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কাকে বলে
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কি । পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কাকে বলে

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কি । পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কাকে বলে

  • অথবা, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর : ভূমিকা : পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ধারণাটি প্রথমে গ্রহণ করে রাশিয়া। তাই বিশ্বে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নকারী দেশ রাশিয়া। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে বাংলাদেশও প্রথম (১৯৭৩– ৭৮) পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

মূলত পাঁচ বছরব্যাপী উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চলছে। এ পরিকল্পনার মেয়াদ ২০১৬– '২০ সাল ।

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা : নিম্নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. স্থানীয় পর্যায়ে সার্বিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এলাকার খাতভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, চাহিদা নিরূপণ ও সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং পরিকল্পনা হয়ে থাকে তাকেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলে ।

২. একটি রাষ্ট্র বা সংস্থা পাঁচ বছর মেয়াদি উন্নয়নমূলক যেসব পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তাকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলে । 

৩. অন্যভাবে বলা যায়, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে সবচেয়ে নিকটের সরকার, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সকল সেবা ও সহায়তা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছায়। 

এসব সেবা ও সম্পদের দক্ষ ও কার্যকর ব্যবহার এবং জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজন ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন। ফলে পরিকল্পনা কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদি যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তাকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলে।

৪. স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনকল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদি দীর্ঘ পরিকল্পনাকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলে ।

৫. যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে বহুসংখ্যক ও বিভিন্ন প্রকৃতির উন্নয়ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলা হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বলতে পাঁচ বছর মেয়াদি উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাকে বুঝায় । 

এ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যার চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানের পরিকল্পনা করা হয়। তাই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার গুরুত্ব রয়েছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url