সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের শ্রেণিবিভাগ তুলে ধর

সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের শ্রেণিবিভাগ তুলে ধর
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের শ্রেণিবিভাগ তুলে ধর

সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের শ্রেণিবিভাগ তুলে ধর

  • অথবা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক, রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। 

রাষ্ট্র বা সংগঠনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পদাধিকারী ব্যক্তিগণকে বৃহত্তর বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করতে হয়, যার ওপর একটি সংগঠন, সংস্থা বা একটি জাতি নির্ভরশীল থাকে। 

তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ এর বিভিন্ন প্রকার/ধরন রয়েছে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন বা ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৬টি প্রকার লক্ষ করা যায় ।

● সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ : নিম্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো :

১. প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত : যে সিদ্ধান্ত প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থে বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক নিয়ে থাকেন তাই প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি অন্যের ওপর অর্পণ করা যায় ।

২. ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত : মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তাই মূলত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি অন্যের ওপর অর্পণ করা যায় না।

৩. মৌলিক সিদ্ধান্ত : যে সিদ্ধান্তগুলো অপরিহার্যভাবে পালনীয় তাকে মূলত মৌলিক সিদ্ধান্ত বলে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি এক ও অদ্বিতীয় এবং দীর্ঘমেয়াদি ।

৪. সাধারণ সিদ্ধান্ত : নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেগুলোই মূলত সাধারণ সিদ্ধান্ত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটির পরিসর সংক্ষিপ্ত এবং পরিবর্তনশীল ।

৫. কার্যসূচিমূলক সিদ্ধান্ত : যেসব সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞতার আলোকে গৃহীত বা প্রণীত হয়, তাকে কার্যসূচিমূলক সিদ্ধান্ত বলা হয়। বিস্তৃত নীতি কাঠামোর মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।

৬. অকার্যসূচিমূলক : আকস্মিক সমস্যার প্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাই অকাৰ্যসূচিমূলক সিদ্ধান্ত । এ ধরনের সিদ্ধান্ত কোনো স্থায়ী সিদ্ধান্ত নয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সিদ্ধান্ত বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার প্রধান কারণ হলো মানুষকে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। মানুষ তার ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরনও বিভিন্ন হয়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url