স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব লেখ। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর



স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব লেখ। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব লেখ। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব লেখ। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর

  • অথবা, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের উপযোগিতা সম্পর্কে লেখ ।

উত্তর ভূমিকা : আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো জনগণের সর্বাধিক কল্যাণের জন্য সর্বদা প্রচেষ্টা চালায়। রাষ্ট্রের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে এর কর্মপরিসরও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সব কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। 

এজন্য সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কার্যসম্পাদনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্ম ও ক্ষমতাকে ভাগ করে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার হিসেবে জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব : নিম্নে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :

১. গণতন্ত্রের অগ্রগতি : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অগ্রগতি সাধিত হয় । এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

কেননা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জনগণের সংশ্লিষ্টতা বেশি। তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 

২. সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা : গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এটি গণতন্ত্রের সফলতার একটি অন্যতম পূর্বশর্ত। এটি জনগণকে স্বীয় দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে ।

৩. নেতৃত্বের বিকাশ সাধন : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য নেতৃত্বের বিকাশ সাধন করে। স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে একজন নেতা পরবর্তীতে জাতীয় নেতা হিসেবে সমাদৃত হয় । এভাবেই গণতন্ত্রের ক্ষুদ্র প্রয়াস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে।

৪. প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে। কেননা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করলে বাস্তবিক জ্ঞানলাভ করা যায় না ।

৫. জনসাধারণের অংশগ্রহণ : জনগণ ছাড়া গণতন্ত্র মূল্যহীন । তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের অংশগ্রহণ একান্ত আবশ্যক। 

স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা সমাধান এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ একান্ত আবশ্যক। গণতন্ত্রকে সম্প্রসারিত করতে বেশি পরিমাণে জনগণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন"।

৬. কর্ম বিভাজন : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার কর্ম বিভাজনের মাধ্যমে কিছু দায়িত্ব স্থানীয় পর্যায়ে প্রেরণ করেছে। সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণকে পূর্বের ন্যায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা সুপ্রতিষ্ঠিত স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের অন্যতম পূর্বশর্ত। 

সর্বত্র গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রের বাস্তবায়ন একান্ত আবশ্যক । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url