কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরা মানুষের কাছে অনেক উপকারি একটি ঔষুধ হিসেবে পরিচিত। কালোজিরাকে ইংরেজিতে (Black Caraway, also known as Black Cumin, Kalojeere, Nigella এবং Kalonji) বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa Linn। এই কালোজিরা আয়ুর্বেদীয় , ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয় এবং এটি মশলা হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান।  

ইসলাম ধর্মে কালোজিরার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছে, তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক গবেষনায়ও প্রমাণিত যে কালোজিরা একটি সুপারফুড। বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার ছাড়াও কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। যা মনব শরীরের জন্য খুব উপকারী।

কালোজিরা ঔষধি গুণাগুণ

কালোজিরাতে প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদানে ভরপুর। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বর্তমানে কালোজিরার ক্যাপসুলও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন। কালোজিরা ফুলের মধু উৎকৃষ্ট মধু হিসেবে বিশ্বব্যাপী বিবেচিত, কালোজিরার তেল শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

কালোজিরার পুষ্টিগত উপাদানে রয়েছে ঃ

  • আমিষ ২১, শতাংশ
  • শর্করা ৩৮ শতাংশ
  • স্নেহ বা ভেষজ তেল ও চর্বি ৩৫ শতাংশ
  • প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম
  • ভিটামিন বি১ ১৫ মাইক্রোগ্রাম
  • নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম
  • আয়রন ১০৫ মাইক্রোগ্রাম
  • ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম
  • কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম
  • জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম
  • ফোলাসিন ৬১০ আইউ
এছাড়াও কালোজিরার উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। পাশাপাশি এই কালোজিরার তেলে রয়েছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ফসফেট, লৌহ, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম,কার্বোহাইড্রেই, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান যা হাজারও উপকার করে।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়মগুলো হলো

১। এক চা-চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস অথবা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে দুশ্চিন্তা দূর হয় এবং মেধাবিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে।

২। কালোজিরা খাওয়ার অন্য আর একটা নিয়ম হলো কালোজিরা গুড়ো করে পেয়ারা পাতার রসের সাথে মিক্স করে খাওয়া। এলার্জি রোগি মানুষের জন্য কালোজিরা ও পেয়ারা পাতার রস অনেক উপকারি। এই ভাবে কালোজিরা খাওয়া যাই।

৩। বাতের ব্যাথায় আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কালোজিরার তেল মালিশ করলে বাতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া কালোজিরা তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন কয়েকবার এই কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে  শরীরের জন্য খুবই উপকারি।

৪। যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। কারণ কালোজিরা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কালোজিরার ভর্তা রাখুন।

৫। নিয়মিত কালো জিরা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

কালোজিরার উপকারিতা

আমাদের দেহের জন্য কালোজিরা উপকারিতা অপরিহার্য। কালোজিরা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগজনিত সমস্যার আশষ্কা কমায়, ত্বকের সুস্বাস্থ্য, ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে কালোজিরা খুব উপযোগী।

এই কালোজিরাতে সকল প্রকার জীবণুনাশক উপাদান বিদ্যমান আছে। এতে রয়েছে লৌহ, ফসফরাস, ফসফেট, কার্বোহাইড্রেই, শক্তিশালী হরমোন ও ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন গবেষনায় এসেছে, কালোজিরা সকল প্রকার রোগের প্রতিকার।

চলুন এখন কালোজিরার উপকার গুলো জেনে নিয়া যাকঃ

  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
  • হজমের সমস্যা দূর
  • চুলপড়া রোধ করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
  • মাথাব্যথা দূর করে
  • ত্বকের যত্ন
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
  • অতিরিক্ত চর্বি কমায়
  • ব্রণের সমস্যা সমাধান
  • যৌন সমস্যা সমাধান করে
  • শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে কার্যকর
  • স্তনদূধ বাড়ায়
  • সর্দি-জ্বর নিরাময়
  • অনিয়মিত মাসিক সমস্যা দূর
  • কিডনির সমস্যা সমাধান
  • হাঁটু ও পিঠের ব্যথা নিরাময়

কালোজিরার উপকার গুলো বিস্তারিত আলোচান করা হলোঃ

১। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি

কালোজিরা আমাদের মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কালোজিরা খেলে দেহের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এছাড়াও এই কালোজিরা মেধার বিকাশে সাহায্য করে।

২। হজমের সমস্যা দূর

আজ কাল এসিডিটি আর বদহজম ঘরে ঘরে দেখা যায়। আর এর জন্য অনেক টাকা খরচ করে ঔষধ কিনতে হয়। এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হলো কালোজিরা। প্রতিদিন আপনি ১-২ চামচ কালোজিরার গুরো পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে পাশাপাশি ক্ষুধাভাব বাড়ায়। এছাড়াও হজম সমস্যার বিরুদ্ধে খুব কার্যকলী ঔষধ।

৩। চুলপড়া রোধ করে

বর্তমানে চুলপড়া মানুষের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন কালোজিরা সেবন করতে পারেন। এই কালোজিরা, চুলপড়া রোধে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকারী সামাধান। কালোজিরার তেল এবং লেবুর রস চুলের জন্য খুবই উপকারী। কালোজিরার তেলের সাথে যদি লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার দ্রুত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে।

৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতিদিন ২ গ্রাম কালোজিরা খেলে রক্তের সুগার লেভেল কমায়। ইনসুলিনের বাঁধা দূর করে পাশাপাশি অগ্নশয়ে বিটা কোষের কাজ বাড়ায়। এছাড়াও কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করে। এটি রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।

৫। মাথাব্যথা দূর করে

মাথাব্যথা দূর কারার জন্য কালোজিরা একটি পুরাতন ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি। ১-২ চামচ কালোজিরার তেল ভালোভাবে মাথায় মালিশ করলে মাথাব্যথা দূর হয়। এছাড়াও মাথাব্যথা যাদের নৃত্য দিনের সাথী তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা রয়েছে। যদি কালোজিরা দিয়ে বড়ি বানিয়ে খেলে মাথাব্যথা অনেক কমে যাবে। 

৬। ত্বকের যত্ন

ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভাব বৃদ্ধি জন্য কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। ত্বকের যত্নে এই কালোজিরা ব্যবহার আশ্চার্যজনক ফলাফল পেতে সহায়তা করে। কালোজিরার তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দু’বার মুখে লাগাতে পারেন। এই দুটো একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যা সমাধান পাবেন। আরও এতে চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে টনিকের মতো কাজ করে।

৭। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন সকালে ২-৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে এবং সারা শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যের তাপে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে। এবং ১ চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৮। অতিরিক্ত চর্বি কমায়

কালোজিরা ডায়েট এর জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়াও কালোজিরা পেটের জন্য খুব উপকার। এই কালোজিরা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ মধুর সাথে অর্ধেক চা-চামচ কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতে সহায়তা করে।

৯। ব্রণের সমস্যা সমাধান

আপনার যদি ব্রণ এর সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে লেবুর রস ও কালোজিরার তেল এক সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তাহলে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। এই লেবুর রস ও কালোজিরার তেল দিনে দুইবার মুখে লাগান। আর এটা ব্যবহারের ফলে ৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

১০। যৌন সমস্যা সমাধান করে

কালোজিরা নারী ও পুরুষের উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। কালোজিরা নিয়মিত খাবারের সাথে খেলে পুরুষের স্পার্মের সংখ্যা বেড়ে যায়। এক চা চামচ মাখন, এক চা চামচ কালোজিরা, এবং এক চা চামচ জাইতুল ও মধুসহ দৈনিক তিন বার ৪/৫ সপ্তাহ খেলে যৌন সমস্যার অনেক ভালো সমাধান পাওয়া যায়।

১১। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে কার্যকর

বর্তমানে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা এই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে ভুগছেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক উপকারী। ১ চা চামচ কালোজিরার তেলের সাথে ১ গ্লাস দুধ মিশিয়ে দৈনিক পান করলে উপকার পাওয়া যাই। এছাড়াও প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কালোজিরার ভর্তা রাখুন। এই কালোজিরা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি জনিত সমস্যার উপশম করে থাকে।

১২। স্তনদূধ বাড়ায়

কালোজিরা নবজাতক শিশুর মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যে সকল মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ নেই, তাদের জন্য মহৌষধ কালোজিরা। মায়েরা প্রতিনিয়ত রাতে শোয়ার পুর্বে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে থাকুন। এতে করে মাত্র ১০-১৫ দিনে মধ্যে বুকের প্রবাহ বেড়ে যাবে।

১৩। সর্দি-জ্বর নিরাময়

কালোজিরা সর্দি-জ্বর নিরাময় করার মহৌষধ। ১ চা-চামচ কালোজিরার সাথে ২ চা-চামচ তুলসী পাতার রস, ২-৩ চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে জ্বর, সর্দি-কাশি, ব্যথা দূর করে। একই সথে একটি পাতলা কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও সর্দি বসে গেলে কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। আর দ্রুত ফল পেতে পিঠে ও বুকে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।

১৪। অনিয়মিত মাসিক সমস্যা দূর

মহিলাদের জটিল সমস্যা মধ্যে এটি একটি বড় সমস্যা। মহিলাদের জটিল সমস্যা মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। ১ কাপ কাঁচা হলুদের রস বা আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে ১ কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার করে খেতে হবে। এতে করে অনিয়মিত মাসিক সমস্যা দ্রুত সমাধান পাবেন।

১৫। কিডনির সমস্যা সমাধান

কিডনি জনিত রোগের প্রতিকার হিসেবে রয়েছে কালোজিরা। দুই চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ কালোজিরার গুড়ো গরম পানির সাথে মিক্স করে প্রতিদিন ভোরসকালে খেতে হবে।

১৬। হাঁটু ও পিঠের ব্যথা নিরাময়

বর্তমানে দেখা যায় বয়স্ক(৫০-৬০ বছর) লোকেদের হাঁটু ও পিঠের ব্যথা কমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হাঁটু ও পিঠের ব্যথা নিরাময়ে কালোজিরা অনেক উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। আর এই ব্যথা থেকে প্রতিকার করতে পারে কালোজিরা। ১ চা কাপ সরিষার তেল, ২ চা কাপ নিম তেল, ২ চা কাপ কালোজিরার তেল এবং ৩ টুকরো মধ্যম সাইজের হলুদ পিষে নিয়ে মিক্স করে গরম করতে হবে। এরপর একটি বোতলে তা সংরক্ষণ করতে হবে। তারপর ব্যথা স্থানে মালিশ করলে ব্যথা কমে যাবে।

আরও জানুনঃ



এই টপিক টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, এই টপিক এর ভিতর কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আপনারা কমেন্ট করুন। আশা করি, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ‍Amarload.com এর সাথে থাকার জন্য।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url