কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় - জেনে নিন

কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুব ভালো আছেন। আর আমিও খুব ভালো আছি। আজকে আমরা আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো টপিকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকের বিষয় “কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়” পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল সিম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের টপিক।

মোবাইল ফোন প্রথম তৈরি হয়েছে ১৯৭৩ সালে। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। তাকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। এই বিস্ময়কর আবিষ্কৃত বস্তু বেতার তরঙ্গ বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। আর এখন এই নেটওয়ার্কটি বিভিন্ন কোম্পানী তৈরি করে দেয়। 

বন্ধুরা আপনারা জেনে থাকবেন, আমাদের দেশের সিমের নাম্বার প্রথমে ০১ দ্বারা শুরু হয়ে থাকে। ০১ এর সাথে ৯টি ডিজিট সংখ্যা যোগ করে মোট ১১ ডিজিট এর সংখ্যাকে মোবাইল ফোনের নাম্বার হিসেবে গন্য করা হয়। প্রত্যেক অপারেটরদের জন্য আলাদা আলাদা নাম্বার কোড হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে ৫টি মোবাইল অপারেটর রয়েছে। মোবাইল অপারেটরা সাধারণ জনগনের সেবা প্রদান করে থাকে। সেগুলো হল:
  1. বাংলালিংক
  2. গ্রামীণফোন
  3. রবি
  4. এয়ারটেল
  5. টেলিটক
বাংলাদেশের সিমের কলিং কোড (+৮৮০)। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল সিমের নাম্বার সিরিজ গ্রামীণফোন (০১৭ ও ০১৩), বাংলালিংক (০১৯ ও ০১৪), রবি (০১৮), এয়ারটেল (০১৬), এবং টেলিটক (০১৫)। এখানে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক প্রথম ১০ লক্ষ নাম্বার এর শেষে তারা (০১৩) গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক (০১৪) নতুন সিরিজ শুরু করে।

কত দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়

বন্ধুরা এবার চলুন জেনে নেওয়াক যাক, কত দিন সিমের ব্যবহার বন্ধ থাকলে মালিকান চলে যায়। বিটিআরসির নিয়ম অনুসারে আপনার অব্যবহৃত সিমটি ১৫ মাস অর্থাৎ ৪৫০ দিন বন্ধ থাকে তবে আপনার সিমটি পরিত্যক্ত সিম হিসেবে ধরা হবে। সুতরাং আপনার সিমটির মালিকানা হারাতে পারেন।

বিটিআরসির সময় অনুযায়ী আপনার সিমটি একটিভ করা না হলে উক্ত সিম পরিত্যাক্ত হিসেবে ধরা হবে। এতে করে সিমের অপারেটরা চাইলে উক্ত সিমের নাম্বার অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারবে। 

বন্ধুরা, এবার জেনে নেওয়া যাক গ্রামীণফোণ, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল এবং টেলিটক কতদিন অব্যবহৃত থাকলে সিমের মালিকানা চলে যায়। এগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা হলো।

গ্রামীণফোন সিম কতদিন অব‍্যবহৃত পর বন্ধ হয়ে যায়?

ব্যবহৃত গ্রামীণফোন সিম একটানা ৪৫০ দিন বন্ধ থাকলে উক্ত সিমকে অব্যবহৃত সিম বলে গণ্য হবে। গ্রামীনফোন সিম কোম্পানী চাইলে ৪৫০ দিন পর পুনরায় উক্ত সিম বিক্রি করে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে উক্ত সিমের মালিক মালিকানা হারাতে পাড়ে।

রবি ও এয়ারটেল কত দিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়?

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন রবি ও এয়ারটেল একই কোম্পানি আওতায়। বিটিআরসির নিয়ম অনুসারে ৪৫০ দিন সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যাবে। আর এটি রবি ও এয়ারটেল উভয় সিমের জন্য একই নিয়ম কার্যকর।

আপনারা জানেন কোনো সিমে টাকা রিচার্জের মাধ্যমে একাউন্ট একটিভ থাকে। কিন্তু রবি ও এয়ারটেল এর সিম অপারেটরা উক্ত গ্রাহকের সিমের মালিকানা চলে যাওয়ার বিষয়টি জানাতে তারা বাধ্য নয়। এক্ষেত্রে আপনাকে হিসাব রাখতে হবে।

বাংলালিংক সিমে কত দিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়?

বাংলালিংক সিম এর ক্ষেত্রে একই নিয়ম ৪৫০ দিন সিম বন্ধ থাকলে এর মালিকানা বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে রবি ও এয়ারটেল কোম্পানির মতো বাড়তি কোনো নিয়ম কানুন থাকছে না। এখানে গ্রামীনফোন সিমের ও বাংলালিংক সিমের একই নিয়ম।

টেলিটক সিমে কত দিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়?

টেলিটক সিমকে সাধারণত সরকারি সিম বলা হয়। তাই এই সিমটি বিটিআরসির নিয়ম অনুসরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানেও একটানা ৪৫০ দিন বা গড় হিসেবে ১৫ মাস বন্ধ থাকে তবে টেলিটক কর্তৃপক্ষ মালিকানা বন্ধ করে দেয়। এবং উক্ত সিমটি অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।

মোট কথা বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী ৪৫০ দিন একটানা কোনো সিমের ব্যবহার না করা হয়। তখন সিমের অপারেটরা চাইলে সিমটি অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। ৪৫০ দিন পর উক্ত সিমের মালিকানা ধরে রাখতে পারবে না।

সর্বশেষ কিছু কথা

বন্ধুরা তাহলে আমরা জানলাম কত দিন একটান সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় পাশাপাশি আরও বাংলাদেশের সকল সিমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে। বন্ধুরা কোথাও যদি বুঝতে না পাড়েন তাহলে কমেন্ট করুন। আশা করি, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। বন্ধুরা এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ‍Amarload.com এর সাথে থাকার জন্য।

আরও পড়ুন:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url