গ্রামীণ পরিকল্পনা কী । গ্রামীণ পরিকল্পনা বলতে কী বুঝায়

গ্রামীণ পরিকল্পনা কী । গ্রামীণ পরিকল্পনা বলতে কী বুঝায়
গ্রামীণ পরিকল্পনা কী । গ্রামীণ পরিকল্পনা বলতে কী বুঝায়

গ্রামীণ পরিকল্পনা কী । গ্রামীণ পরিকল্পনা বলতে কী বুঝায়

  • অথবা, গ্রামীণ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দাও ।

উত্তর : ভূমিকা : স্থানীয় পর্যায়ের গৃহীত সর্বনিম্ন স্তরের পরিকল্পনা হলো গ্রামীণ পরিকল্পনা । গ্রামীণ পরিকল্পনা মূলত পল্লি উন্নয়নকেন্দ্রিক। 

পল্লি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য গ্রামীণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। গ্রামীণ পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রামীণ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

→ গ্রামীণ পরিকল্পনা : নিম্নে গ্রামীণ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হলো :

১. স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হলো গ্রাম। গ্রামীণ সমবায়ের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং সরকারি ও বেসরকারি এজেন্সির সমন্বয়ে গ্রামীণ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে গ্রামীণ পরিকল্পনা বলা হয় ৷

২. পরিভাষায় গ্রাম্য সম্পদ তথা জনসংখ্যা, পুরুষ, মহিলা, প্রাকৃতিক সম্পদ প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে গ্রাম্য উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে গ্রামীণ পরিকল্পনা বলে ।

৩ : উৎপাদন বৃদ্ধি, সম্পদের সুসম বণ্টন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে গ্রামীণ পরিকল্পনা বলা হয় ।

৪. গ্রামীণ পরিকল্পনা বলতে মূলত গ্রামীণ পর্যায়ের সমবায় সমিতি কর্তৃক সম্পদের সুসম বণ্টন ও উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে বুঝায় ।

গ্রামীণ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যগুলো হলো :

১. দারিদ্র্য দূর করা ।

২. আয় ও সম্পদের সুসম বণ্টন নিশ্চিত করা।

৩. গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা ।

৪. পরিকল্পনা প্রণয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ।

৫. অপ্রতুল সম্পদের ব্যবহার ও বণ্টন নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রামীণ জনগণকে অধিকতর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদান । 

৬. সর্বোপরি গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনমানের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রামীণ পরিকল্পনা বলতে গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও সম্পদের সুসম বণ্টন নিশ্চিত করার আলোকে গৃহীত পরিকল্পনাকে বুঝায়। এ পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশীদার করা হয়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url