সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃতি আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর

সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃতি আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃতি আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর

সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃতি আলোচনা কর । সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর

  • অথবা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃতি সম্পর্কে যা জান লেখ ৷

উত্তর : ভূমিকা : সিদ্ধান্ত গ্রহণ মূলত সমস্যা চিহ্নিতকরণ, তথ্য সংগ্রহ এবং বিকল্পসমূহের মধ্য থেকে একটিকে বেছে নেওয়া। 

একাধিক বিকল্পের মধ্য থেকে তিনটি পর্যায়ের চিহ্নিত পছন্দের মাত্রার সাথে সংগতি রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে সর্বাধিক সফলতা দিবে এমন একটিকে পছন্দ করতে হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিজস্ব প্রকৃতি রয়েছে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃতি : মূলত কতকগুলো বিকল্পের মধ্য থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে সর্বাধিক সন্তুষ্ট করবে এমন একটি বিকল্পকে বাছাই করাই হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এ বাছাই করার উদ্দেশ্য হলো বিরুদ্ধ শক্তিকে পরাজিত করা। 

তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাছাইয়ের গুরুত্ব রয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল কারণ হলো লক্ষ্যার্জনের সবচেয়ে সঠিক পদ্ধতি বের করা। যাতে লক্ষ্যার্জনে অধিকতর সফলতা নিশ্চিত করবে।

একজন প্রশাসক/সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং সংগঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করে বিচক্ষণতার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। 

যদিও তীক্ষ্ণ চিন্তার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তথাপি কতকগুলো স্বতঃস্ফূর্ত কাজ প্রশাসক/সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর জানার বাইরে থাকে ।

একজন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায় থেকে সর্বোৎকৃষ্ট উপায়টি বাছাই করে। আর সর্বোৎকৃষ্ট উপায় নির্বাচন করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সত্তার প্রয়োজন হয়। 

তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী চিন্তার মাধ্যমে সম্ভাব্য বহু সমাধানের মধ্যে সর্বাধিক সুবিধাজনকটি নির্ধারণ করে। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সময় নেতিবাচকও হয়, কেননা সবসময় সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়। 

আর কোনোকিছু বাছাই করা থেকে বিরত থাকাটাও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত । তাই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয়ই হতে পারে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক রয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং সিদ্ধান্তের লক্ষ্যের প্রতি নজর দিতে হয়। তাই সর্বোৎকৃষ্ট বিকল্প নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url